কপিলাবাস্তুর বুদ্ধদেব

কপিলাবাস্তুর বুদ্ধদেব

বুদ্ধদেব কপিলৰাস্তু নগরের ( কপিলাবস্ত নয় ) শাক্য বংশে জন্মগ্রহণ করেন । বুদ্ধদেবের পিতা শুদ্ধোদন ছিলেন কপিলবার রাজা । কীভাবে কপিলৰাস্ত নগর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সে - সম্পর্কে একটি কাহিনির কথা জানা যায় । কাহিনিটি হল — বুদ্ধদেবের পূর্বপুরুষরা ছিলেন অযোধ্যার অধিবাসী । একসময় অযোধ্যার রাজা সুজাতের পাঁচ পুত্র রামচন্দ্রের মতো পিতৃসত্য পালনের জন্য রাজ্য ছেড়ে বনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন । তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে একসময় হিমালয়ের কোলে শকট / শাল বনে এসে উপস্থিত হলেন । সেখানে কপিল মুনি নামে এক মুনির আশ্রম ছিল । আশ্রমের চারপাশের শোভা দেখে রাজপুত্ররা মুগ্ধ হলেন । তাঁরা সেখানে বসবাস করার জন্য মুনির অনুমতি প্রার্থনা করলেন । কপিলমুনি তাদের সেখানে বসবাসের অনুমতি দিলেন । তাঁরা সেখানে কুটির তৈরি করে বসবাস করলেন । কপিল মুনির বসবাসের জায়গায় বা বাস্তুতে তাঁরা বসবাস করেছিলেন বলে তা কপিলবাস্তু ( কপিল + বাস্তু ) নামে পরিচিত হয় । সেখান থেকে তাঁরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিজেদের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন । তাঁদের প্রতিষ্ঠিত রাজ্যের রাজধানী হল । কপিলবাস্ত । সেই ছোট্ট কুটিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠল জনবসতি যা কালক্রমে কপিলবাস্তু নগরে পরিণত হল ।

কপিলবাস্তু রাজ্যের প্রথম রাজা ছিলেন ওপুর । রাজা ওপুরের নাতি ছিলেন গৌতম বুদ্ধের পিতা রাজা শুদ্ধোধন । রাজা শুদ্ধোধন পুত্র কামনা করে সিদ্ধ হয়েছিলেন বলে ছেলের নাম রেখেছিলেন সিদ্ধার্থ । সিদ্ধার্থের জন্মের ৭ দিনের মধ্যে তাঁর মা মায়াদেবী মারা গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থের মাসি বা ছোটো রানি গৌতমী তাকে লালনপালন করেছিলেন বলে সবাই আদর করে তাঁকে গৌতম বলতেন । গৌতম বুদ্ধ শাক্য বংশের সন্তান ছিলেন । শাক্য বংশের এই সিদ্ধার্থ গৌতম সিদ্ধি লাভ করে বুদ্ধদেব হয়েছিলেন ।